Solayman's Booster

A Sacred Script Of Digital Marketing In Bengali.

বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০

ধূমপায়ীরা করোনভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে

মার্চ ১১, ২০২০ 0
আপনি যদি ধূমপান পরিত্যাগের  কথা ভাবেন তাহলে এখনই এটি করার ভাল সময় হতে পারে। কেননা ফুসফুসের রোগ বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে ধূমপান এবং করোনাভাইরাসজনিত জটিলতার বিকাশের মধ্যে একটি যোগসূত্র থাকতে পারে। তাদের হাতে একটি নতুন গবেষণাপ্ত্র রয়েছে এবং গবেষণাটি এই রোগে সবচেয়ে কে বেশি সংবেদনশীল এই বিষয়ে আলোকপাত করে ।

 
চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের করোনভাইরাসের প্রথম ৮,০০০ নমুনার  উপর একটি নতুন বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে পুরুষরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক লক্ষণগুলি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং মারা যাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।[১] 

আর এটির  কারণ হতে পারে যে চীনা পুরুষরা ভারী ধূমপায়ী।এটি আরও দেখায় যে সবচেয়ে গুরুতর নিউমোনিয়াতে আক্রান্তদের মধ্যে ৬১.৫ শতাংশই পুরুষ। পুরুষদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার মহিলাদের তুলনায় তিনগুণ বেশি ছিল - ৪.৪৫ শতাংশ পুরুষ মারা গিয়েছিলেন, মহিলা রোগীদের ১.২৫ শতাংশের তুলনায়, গবেষণায় দেখা গেছে।[১]

এই প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের চিফ মেডিকেল অফিসার কমন হেল্‌থ এন্ড সোশ্যাল কেয়ার শীর্ষক একটি বৈঠকে ধূমপায়ীদের সতর্ক করে বলেছেন যে আজ ধূমপায়ীরা করোনভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।[২]

তাছাড়া ইংল্যান্ডের সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেছিলেন: 'বেশিরভাগ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের জন্য, আপনি এমন লোকদের নিয়েই চিন্তিত হন যারা কিছুটা বেশি ধূমপান করেন। এমন নয় যে তারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার  সম্ভাবনা বেশি বরং তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্যদের তুলনায়  কম ভাল। আপনি যদি ধূমপান ত্যাগ করতে চান  তবে এটি করার জন্য এখনি খুব ভাল মুহুর্ত। তবে এটি এমন নয় যে আমি বলছি ধূমপায়ীদের  স্ব-বিচ্ছিন্ন করা বা অন্য কোনও উপায়ে তাদের সাথে বাজে  আচরণ করা উচিত '' এটি পুরোপুরি পরিষ্কার নয় যে ধূমপান বিশেষত কোভিড -১৯ নামক করোনভাইরাস স্ট্রেনের জন্য মানুষকে আরও বেশি সংবেদনশীল করে তোলে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি সাধারণত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শরীরের ক্ষমতার  ক্ষতি করে।[২]

এপিডেমিওলজিস্ট স্যাস্কিয়া পোপেস্কু” বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছিলেন যার ধূমপানের ইতিহাস রয়েছে অর্থাৎ  যিনি আগে থেকে ধূমপান করছেন এমন যে কারো ক্ষেত্রে করোনা  'তীব্র শ্বাসকষ্ট বা নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।[২]

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) প্রফেসর সানজায়া সেনানায়াকে বলেছেন ধূমপান অন্যান্য পরিস্থিতিগুলিকে জ্বালানী দেয় যা কোভিড -১৯ এর লক্ষণকে আরও খারাপ করে তোলে। তিনি ডেইলি মেল অস্ট্রেলিয়াকে বলেছেন: 'ধূমপান অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস এবং দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগের মতো অসুস্থতার সাথে সম্পর্কিত যা আরও গুরুতর রোগের সাথে জড়িত এবং করোনভাইরাস থেকে খারাপ ফলাফল বয়ে আনে। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার জন্য এটি সবসময়ই ভাল সময়।

তথ্যসূত্রঃ

[১]  Smokers at increased risk of coronavirus complications, leading experts warn

[২] Smokers ‘at more risk of catching coronavirus.


বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

মৌলবীরাই যখন হেদায়েতের মধ্যে নেই তখন আমাদের করনীয় কি?

ফেব্রুয়ারী ০৫, ২০২০ 0
২০১৯ সালে কওমি শিক্ষকরাই ধর্ষণ করল এক তৃতীয়াংশ শিশু। হুজুরদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি, মৌলবীরাই যখন হেদায়েতের মধ্যে নেই তখন আমাদের করনীয় কি? 



কেউ দাঁড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী পড়লেই বা ইসলাম মনা হলেই ধরে নেয়া হয় সে উগ্রবাদী, মূর্খ(কাওমী পড়া) বর্তমান সোসাইটিতে বেমানান কেউ। ক্ষেত টাইপের বা অন্য জগতের লোক বা তাদের কথা মানেই পাগলের প্রলাফ। ইসলাম মনা মানেই আধুনিকায়নের বিপরীত, উন্নয়নের বাঁধা, তাদের নিয়ে মজা করা যায়, টিভি নাটক বা সিনেমায় তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তাদের নিয়ে বানানো ফানি ভিডিও তে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করা যায়। ইচ্ছা মত তাদের নিয়ে কুৎসা রটানো যায়। ঘৃণা ছড়ানো যায়। তারা যদি মিজানুর রহমান আজহারীর মত জনপ্রিয়ও হয়, তবুও নাহিদ রেন্সের মত চরিত্রহীন ছেলেরা তাদের নিয়ে কুৎসা রটানোর সাহস পায়। আমরাও তা মেনে নেই, আমরা মনে করি মৌলবীরা হয়তো হেদায়েতের মধ্যে নেই, তাই এমনটা হচ্ছে।সত্যিই কি আলেমরা হেদায়াতের মধ্যে নেই? না আমরা উনাদের বক্তব্য বুঝছিনা?

আসলে সমস্যাটা আমাদের আর আলেম বিদ্বেষ এই পরিবেশ আমরা নিজেরা তৈরি করেছি, করে যাচ্ছি, কারণ আমাদের ঈমানী দুর্বলতা , আর আমরা কেউই সৃষ্টি কর্তা(আল্লাহ) কে পরিপূর্ণ বিশ্বাস করি না। আমরা আল্লাহ বিশ্বাস করা সম্পর্কে জানি মাত্র। আল্লাহ কে বিশ্বাস করা আর আল্লাহ বিশ্বাস সম্পর্কে জানা এক জিনিস নয়। যেমন ধরুন আপনি জানেন আগুণ সবকিছু পুড়িয়ে দিতে পারে, আপনাকেও।  প্রতিদিন অজস্রবার আগুণ জ্বলছে নিভছে,  আপনি নির্বিকার , স্বাভাবিক ব্যপার । কিন্তু যখন আপনার অফিসে আগুণ লেগে যায়, আর আপনি বিশ্বাস করেন আগুণ এখনি আপনাকে পুড়িয়ে দেবে, তখন আপনি কি করবেন? হ্যাঁ, F R Tower  এ আগুণ লাগার মত ১৭ তলা উপর থেকে লাফ দিবেন। আপনি জানেন, আপনি নির্বিকার । আপনি বিশ্বাস করেন,আপনি ১৭ তলা উপর থেকে লাফ দেন ।  কোন কিছু জানা আর তা বিশ্বাস করা এক নয়। যেমন আপনি জানেন একটিমাত্র কবিরা গুনাহ জাহান্নামে আগুনে পুড়ার জন্য যথেষ্ট, বিশ্বাস করেন কি?করছি  না। আমরা আল্লাহ বিশ্বাসকে  হৃদয়ে ধারণ করতে পারছি না। দৈনিক ২৪ ঘন্টার মধ্যে বড়জোর একঘণ্টা আল্লাহ হৃদয়ে থাকে, বাকি সময় থাকে না । এটা আমার অবস্থা, আপনার কি অবস্থা? আপনি কি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন, না শুধুমাত্র আল্লাহ বিশ্বাস সম্পর্কে জানেন?

আমাদের লাইফ স্টাইল, আমাদের শিক্ষা, আমাদের সমাজ ব্যবস্থাও   আল্লাহকে বিশ্বাস করতে দিচ্ছে না। আমরা ছোট বেলা থেকে ভুল শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আসছি আর যেটা নিয়ে আমরা গর্ব করে চলেছি । আমরা জেনেছি জনসংখ্যা সমস্যা, অথচ বর্তমান চীন এবং ভারত প্রমাণ করেছে জনসংখ্যা সম্পদ। আমরা বিবর্তনবাদকে সত্য বলে বিশ্বাস করতাম, অথচ স্বয়ং ডারউইন তার থিওরি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন , আমরা লোহ যুগ, প্রস্তর যুগ, গুহাবাসী লোকজনের ইতিহাস পড়ছি যা  সত্য তো নয়ই, বরং ধারনা মাত্র। অথচ মানব ইতিহাসের তৃতীয় কি চতুর্থ প্রজন্ম আদি মানব  হযরত নূহ (আঃ) তার কিস্তি( বর্তমানে তুরস্কে আবিষ্কৃত) তৈরিতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন তা আজো বিজ্ঞান খুঁজছে। তবুও আপনি একবারের জন্য বিশ্বাস করতে পারবেন না মানুষ গুহায়  বাস করতো না বরং সৃষ্টির শুরু থেকেই জ্ঞানী ছিল। কারণ আমদের কল্পনাশক্তি আর বিশ্বাসকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের আল্লাহকে বিশ্বাস করার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে না। আমরা অনেক বেশি দুনিয়া মুখি। জাহান্নামের কঠিন শাস্তি আর আমাদের মাঝে শুধু মৃত্যুই দেয়াল, তবুও আমরা নির্বিকার । কারণ আমরা জাহান্নাম বিশ্বাসই করি না, জাহান্নাম সম্পর্কে জানি মাত্র। যদি বিশ্বাসই করতাম তাহলে ১৭ তলা থেকে লাফ দিতাম, অন্তত বাঁচার চেষ্টা করতাম। 

আমরা  ভাবি পরকালের শাস্তিই হয়তো সহনশীল। অথবা যেহেতু হাত পা বেঁধে মারবে বা নিরুপায় থাকব, সয়ে নেবো। অথবা আল্লাহ ন্যায় বিচারক, দয়ালু উনি আমার মনের খবর জানেন, ক্ষমা চাইবো উনি ক্ষমা করে জান্নাত দিবেন, আমার মনে হচ্ছে এই জায়গায় আমরা সবচেয়ে বেশি  ভুলে আছি, কারণ আল্লাহ যেহেতু ন্যায়বিচারক আল্লাহ নিশ্চয়ই - যে ব্যক্তি হালাল, হারাম, ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল, মুস্তাহাব সব অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছে, তাকে রেখে আমার, আপনার মত সাপ্তাহিক মুসল্লিকে জান্নাত দিবেন না(আল্লাহই ভাল জানেন) । জানিনা জান্নাতের এক আসনের বিপরীতে কতজন করে প্রার্থী থাকবে, জানিনা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কি কি আমল করছে, বা করেছে। আমরা যদি আল্লাহ কে বিশ্বাস করতাম, তাহলে হালাল, হারাম, ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল, মুস্তাহাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতাম না। আমরা যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করতাম তাহলে, ছোট বড় সকল আমলের গুরুত্ব দিতাম। অথবা যারা এই আমল গুলো করে তাদের বুঝতে পারতাম। তারা খুন, ধর্ষণের মত হারাম কাজগুলোকে কতটুকু ঘৃণা করে বা  আল্লাহর কাছে কিসের ভয়ে কান্নাকাটি করে তা বুঝতাম।


আমরা হালাল, হারাম, ফরজ, ওয়াজিব এর এই ধার ধারি না, তাহলে যারা  সুন্নত, নফল, মুস্তাহাবকেও গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে তাদের মনের অবস্থা আমরা কিভাবে বুঝবো? তাদের লেভেলে তো আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা তাদের বিশ্বাস করি না, গুরুত্ব দিতে চাই না। এমনকি ধর্মীয় বাণীগুলোও নিজেদের মনগড়া বা অন্যকোন লোক যে যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপনে পটু তার টা বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি মেসির পক্ষে ভালো ফুটবল খেলা সম্ভব ক্রিকেট নয়, কিন্তু তবুও কেন যেন এটা বিশ্বাস করিনা যে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি মানেই ধার্মিক বা আলেম নয়। শুধু মাত্র আবু সাঈদ স্যাররাই  মান্য নয় বরং আল্লামা আহমদ শফী হুজুররাও মহামান্য এটা আমরা মেনে নিতে চাই না।

আমরা সবসময় নিজেদের সঠিক বলে মনে করি। দাঁড়ি টুপি ওয়ালাদের অনেক ভুল আমাদের চোখে পরে, মনে হয় তারা  সঠিক নয় ।  এমনকি আল্লাহর অনেক বিধানও আমাদের ভুল মনে হয়, মনে হয় এই ইসলাম টা ১৪ শ বছর আগের জন্য, এখনকার জন্য নয়। এখন মানুষ অনেক বিজ্ঞ, এখন মানুষ নিজের ভাল মন্দের বিবেচনা করতে পারে। ভাল কিছুর সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা মানুষ নিজেরা নিতে পারে। হ্যাঁ মানুষ বড়জোর ১-২ বছর অথবা ৫ -১০ বছর বড়জোর ১০০ - ২০০ বছরের জন্য পরিকল্পনা করতে পারে, কিন্তু আল্লাহ পরিকল্পনা করেছেন ৫০০ বিলিয়ন বছর  বা তারচেয়ে বেশি সময়ের জন্য (বিজ্ঞানীরা মনে করে পৃথিবীর বয়স 4.5 বিলিয়ন বছর)। মানুষ হয়তো ১০ - ১২ বছরের ভালো টা জানে কিন্তু আল্লাহ চূড়ান্ত ভালোটাই জানেন। তাই আল্লাহর বিধানে কোনো ভুল থাকতে পারে না। আরেকটা বিষয়, বিজ্ঞানীরা মনে করে ৩-৪ মিলিয়ন বছর আগে প্রথম মানুষ আসে, পৃথিবী হয়তো আরও কয়েক হাজার বছর টিকবে( আল্লাহ ভালো জানেন), যাই হোক আমি বিষয় টা দেখি এভাবে মানব ইতিহাসের ৩- ৪ মিলিয়ন সময়ের তুলনায় আমার ৬০ বছরের জীবনটা হচ্ছে ঠিক ঐ সময়টার মত যা আমার ৬০ বছরের জীবনে ৩ ঘণ্টা পরীক্ষার হলে কেটেছিল। হ্যাঁ আমি মনে করি জীবনটা হলো পরীক্ষার হল, জন্মের মাধ্যমে এই হলে প্রবেশ করেছি আর মৃত্যুর মাধ্যমে বের হয়ে যাবো, আর লক্ষ , কোটি বছরের এই প্রবাহমান সময়ে মহান রাব্বুল আলামীন আপনার আমার মত অনেক মানবের পরীক্ষা নিচ্ছেন। ফলাফল পাবো হাশরে, আপনি আমি সবাই পরীক্ষার্থী, একে অপরের  প্রতিদ্বন্দ্বী। এই পরীক্ষা পাশের কারিকুলাম রাসূলের জীবনী ও আমল, পাঠ্যপুস্তক আল কুরআন, শিক্ষক রাসূলের ওয়ারিশ হাক্কানি অলেমগণ, আমার ভাবনা যদি আপনার সঠিক মনে হয় তাহলে একবার ভাবুন-

  • আমরা কি রাসূলের জীবনী মুখস্ত জানি, যেমন জানি হলিউড বা বলিউড মুভির কাহিনী ? 
  • আমরা কি কুরআন পরে দেখেছি কখনো, যেভাবে পড়ি উপন্যাস সমূহ ? 
  • আমরা কি আলেমগণের পিছনে ঘুরি, যেভাবে পিছনে ঘুরি নেতাদের ? 
  • হাশরের দিন আমরা ভালো ফলাফল আশা করতে পারি? যেমন আশা করি GPA বা CGPA এর 
  • আমরা কি সত্যিই আল্লাহকে বিশ্বাস করি , না শুধুমাত্র আল্লাহ বিশ্বাস সম্পর্কে জানি? আল্লাহ কে বিশ্বাস করা আর আল্লাহ বিশ্বাস সম্পর্কে জানা এক জিনিস নয়। আমরা যখন জানি, আমরা নির্বিকার থাকি । আমরা যখন বিশ্বাস করি ,আমরা ১৭ তলা উপর থেকে লাফ দেই। 
যারা মৌলবী, যারা যারা সুন্নত, নফল, মুস্তাহাবকেও গুরুত্ব দিচ্ছে বা যারা হাক্কানি অলেম তারাও মানুষ, তাদেরও ভুল হয়। তাদের ভুল গুলো শুধরানোর জন্য অন্য আলেমরা আছেন। আমরা সাধারণ রাতো উনাদের মত ভাবতেও পারিনা, আমরা কেন উনাদের সমালোচনা করবো? আমরা না বুঝে উনাদের সমালোচনা করাতে আমদের মত অন্য সাধারণ লোকেরা আলেমদের উপর আস্থা হারাচ্ছে, এতে করে পুরো সমাজের ক্ষতি হচ্ছে। আপনার আমার একটি মন্তব্যের জন্য আমাদের কাছের লোকটির অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে জ্বলার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আমার মনে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করা উচিৎ, আমাদের আলেমদের উপর আস্থা রাখা এবং তাদের যথাযোগ্য সম্মান দেয়া উচিৎ। 

আর আরেক টা বড় কারণ হচ্ছে  আর আরেক টা বড় কারণ হচ্ছে লেখাটা লেখার প্রেক্ষাফট।  আমার বন্ধু তৌফিক এর ওয়ালে একটা নিউজ দেখলাম, ইউটিউব ভিডিও লিঙ্ক যার শিরোনাম হচ্ছে "২০১৯ সালে কওমি শিক্ষকরাই ধর্ষণ করল এক তৃতীয়াংশ শিশু"। তৌফিক জাসদ(জে এস ডি) সম্প্রদায়ের র ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। সে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রমোট করে।   নিউজটা দেখে সন্দেহ হলো "এক তৃতীয়াংশ" হিসাব করলো কিভাবে? যাচাই করতে গিয়ে দেখলাম  iTv ctg নতুন একটা ইউটিউব চ্যানেল, যে বিভিন্ন ওয়াজের কাটপিস দিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে, বিচার বিশ্লেষণ করে বুঝা গেল সে "আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের" সমর্থক এবং চরমভাবে কাওমি বিদ্বেষী, তার চ্যানেলে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে করুচিপূর্ণ ভিডিও রয়েছে, এর মধ্যে তার কাওমি বিদ্বেষী ভিডিওগুলাই হিট। তো ঐ  ইউটিউব চ্যানেল আবার "স্বদেশ বার্তা" নামে একটা অখ্যাত অনলাইন প্রত্রিকার বরাত দিয়ে ভিডিও বানিয়েছিল। "স্বদেশ বার্তা" হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ Sydney শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ এরপত্রিকা, যিনি Sydney থেকে এটা পরিচালনা করেন। ঐ পত্রিকায় "ছয় মাসে ৪০০ শিশু ধর্ষণের শিকার, ১৬ জনের মৃত্যু, এক তৃতীয়াংশ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা" শিরোনামে এই খবর চাপা হয়। বেসরকারি সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) বরাত দিয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সংবাদটি চাপানো হয়। যেখানে বলা হয় " ২০১৯ সালের ছয়টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ৪০৮ টি সংবাদ বিশ্লেষণ করে  একটি  পরিসংখ্যান তুলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন জানায়, ৬ মাসে সারাদেশে ৩ শ ৯৯ জন শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে । এর মধ্যে ৮ জন ছেলে শিশু । ধর্ষণের পরে ১ জন ছেলে শিশুসহ মারা গেছে ১৬ টি শিশু। এদের মধ্যে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছিল ৪৪ জনের উপর ।"এমজেএফ" জরিপের কোথাও কাওমি শিক্ষকের কথা উল্লেখ না থাকলেও আসিফ আজাদের প্রত্রিকা সম্পূর্ণ অযাচিত ও অযৌক্তিকভাবে রিপোর্টের শেষে যোগ করে "  যদিও (এমজেএফ) সামগ্রিকভাবে সার্ভে করে দেখেছে, কিন্তু আমাদের করা নিউজ আর অনলাইনে প্রকাশিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যার রিপোর্ট অনুসারে প্রায় এক তৃতীয়াংশ ধর্ষণ ও খুন হয়েছে কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা", শিরোনাম করে দেয়। এভাবে ডালাও ভাবে উনি বাংলাদেশের একটি বৃহত্তর ধর্মীয় গোষ্টিকে বিশাল এক পাপের বোঝা ছাপিয়ে দেন কোনো বিশ্বস্ত নিউজ সোর্স ছাড়াই।  হ্যাঁ এভাবে একটা গোষ্টি তাদের দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের, কিছু ভিসিটর, জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য আলেম বিদ্বেষী মিথ্যা রটিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আর আলেমদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করছে। তাই সংবাদ বিশ্বাস করার আগে তা যাচাই করা উচিৎ। আমদের এই বিষয়গুলোতে আরও সচেতন হওয়া উচিৎ।

এটা সত্য, সাধারণ আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ শয়তানের পরোচনায় অনেক মারাত্মক অপরাধ করছেন বলাৎকারের মত জগণ্য  অপরাধ ও করেছেন, আবার অনেক পাপী বর্ণচুরি করার জন্য দাঁড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী পড়ে তাদের কথা আলাদা, তাদের শাস্তি হোক, ধ্বংস হোক। কিন্তু দিন শেষে যেসব কুলাঙ্গার রা নিজেদের দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের জন্য রাসূলের সুন্নত দাঁড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী ওয়ালাদের অবমাননা করে, কুৎসা রটায়, সত্য মিথ্যা যাচাই না করে সংবাদ পরিবেশন তাদের জন্য আল্লাহর লানত।

রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০

ফেইসবুক পিক্সেল কোড ,ইভেন্ট সেট আপ, রিটার্গেটিং বাংলা টিউটোরিয়াল

জানুয়ারী ০৫, ২০২০ 0

ফেইসবুক পিক্সেল কোড ,ইভেন্ট সেট আপ, রিটার্গেটিং বাংলা টিউটোরিয়াল। ফেইসবুক পিক্সেল কোড ,ইভেন্ট সেট আপ, রিটার্গেটিং সম্বন্ধে জানতে এই ব্লগটি পড়ুন। 


ফেইসবুক পিক্সেল কোডঃ  ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইনে সবচাইতে বেশি সফলতার  গোপন রহস্য হল Facebook Ad Pixel এর সর্বোত্তম ব্যবহার। আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রসার করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফেসবুক পিক্সেল সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে । এটার ব্যবহার ছাড়া ফেসবুক অ্যাডের সর্বত্তম ব্যবহার কোন অবস্থায়ই সম্ভব নয় ।


ফেইসবুক ইভেন্টঃ ইভেন্ট হচ্ছে ফেইসবুক এদের ক্ষেত্রে কনভার্সন ট্র্যাকিং এর পদক্ষেপ। 


রিটার্গেটিংঃ   ৭২% অনলাইন খরিদ্দার শপিং এর সময় অনেক কিছুই বাদ দিয়ে যায়। রিটার্গেটিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এদের অনেককেই বাদ দেয়া জিনিসগুলা কেনাকাটার জন্য ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রথমবার আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভে ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি রিটার্গেটিং এর সাহায্যে আপনার ই-কমার্স স্টোরে সম্ভাব্য কাস্টোমার ফেরত পেতে পারবেন।


যখন আপনি একটা ই-কমার্স স্টোর পরিচালনা করেন, তখন আপনি রিটার্গেটিং এর সাহায্যে নিম্নোক্ত ফলাফল গুলা পেতে পারেনঃ

  • একজন সম্ভাব্য কাস্টোমারকে তার খোঁজ করা কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে মনে করিয়ে দেয়া
  • আপসেলস এবং ক্রসসেলস প্রোমোট করা
  • মানুষ যে সকল প্রোডাক্ট নিতে আগ্রহী সেগুলাতে ডিস্কাউন্ট দেয়া
  • একই ক্যাটাগরির (আপসেলস এবং ক্রসসেলস হতে ভিন্ন) প্রোডাক্ট প্রোমোট করা- যদি আপনি একটা ইলেক্ট্রনিক ই-কমার্স সাইট পরিচালনা করেন তাহলে আপনি একজন কি খরিদ করেছে সেটার উপর ভিত্তি করে ফ্রিজ বা ওভেন প্রোমোট করতে পারেন
  • প্রমোশনাল অফারগুলা মানুষকে মোবাইল ডিভাইসের সাহায্যে জানানো
চলুন দেখি আপনি কিভাবে ফেইসবুকে ফেইসবুক পিক্সেল, ফেইসবুক ইভেন্ট সেট আপ, রিটার্গেটিং সাহায্যে আপনার সেলস বাড়িয়ে নিতে পারেন 


                                                       
আশাকরি ভিডিও আপনার ভালো লেগেছে। আপনি কতটুকু উপকৃত হতে পেরেছেন তা কমেন্টে জানান। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পরবর্তীতে আরও টিউটোরিয়াল তৈরিতে সহায়তা করবে।  






শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৯

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব

এপ্রিল ১২, ২০১৯ 0
           ডিজিটাল মার্কেটিংঃ "ডিজিটাল মার্কেটিং" কথাটি দুটিশব্দের সমন্বয়ে গঠিত "ডিজিটাল" এবং "মার্কেটিং"।আসুন আগে দেখি এ শব্দ দুটি দ্বারা আমরা কি বুজি?


            ডিজিটাল
ডিজিটাল কথাটির অর্থ হচ্ছে সংখ্যাগত বা Digit সংক্রান্ত।সব Digit না হোক শুধু বাইনারী সংখ্যাব্যবস্থার "0"এবং "1" এর দুনিয়াই হচ্ছে ডিজিটাল দুনিয়া।"0"এবং "1" বা বাইনারী হচ্ছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ তাই  "0"এবং "1"দুনিয়া হচ্ছে কম্পিউটারের দুনিয়া।কম্পিউটার আর প্রযুক্তি মিলে পৃথিবীর যে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে তা আমাদের কারো অজানা নয়।

প্রযুক্তির উত্তরোত্তর উন্নয়ন আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে তুলেছে।রাষ্ট্র ব্যবস্থার সকল সীমানা প্রাচীর তুলে দিয়ে পুরো পৃথিবীকে একই শামীয়ানার নিচে আবদ্ধ করেছে।
আজ হোয়াইট হাউজে বসে ডোনাল্ড ট্রাম্ফ কী করছেন তা আমরা সেকেন্ডের ব্যবধানেই জেনে যাই।কলকাতার বিখ্যাত ব্যান্ড "মহিনের ঘোড়াগুলি"র  গানের কথাগুলোতে খুব সুন্দর করে প্রযুক্তির প্রভাব ফুটে উঠেছে,,,,
  পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে
  স্যাটেলাইট আর ক্যাবলের হাতে
  ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী
  ঘরে বসে সারা দুনিয়ার সাথে
  যোগাযোগ আজ হাতের মুঠোতে
  ঘুচে  গেছে দেশ, কাল সীমানার গণ্ডি
  --------------------
আজ পৃথিবী অনেক এগিয়ে। ঘরে বসেই আমারা যেমনি পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যোগাযোগ রক্ষা করে যেতে পারি,তেমনি অনায়াসে গড়ে তুলতে পারি ব্যবসা- বাণিজ্য, ফ্রিল্যান্সিং এর অনলাইন আয়ের ব্যবস্থা।
আর "0"এবং "1" এই ডিজিটের ঘাঁড়ে ভর করেই এসব সম্ভব হয় বলেই,আমরা এই বিস্ফোরিত প্রযুক্তিগত পরিবেশকে ডিজিটাল বলি।


           মার্কেটিং
মার্কেটিং"কাকে বলে? এই প্রশ্নটির উত্তর সবাই গুছিয়ে বলতে না পারলে ও মার্কেটিং যে কী,তা আমরা মোটামুটি সবাই বুজি। সাধারণের মুখের ভাষায় বলতে গেলে বিক্রির ধান্দা।তাই অনেকে আবার মার্কেটিং বলতেই বিরূপ ধারণা পুষে রাখেন।টিভিতে ছবি,খেলা,নাটক বা কোনো অনুষ্ঠানের মধ্যে বিজ্ঞাপন আসলেই রিমোটের বাটন চাপতে কার্পণ্য করেন না।আজ একটু অন্যভাবে ভাবুন। একজন মার্কেটার হিসেবে আমি মার্কেটিং টা কে ভাবি একটা শিক্ষা দান প্রক্রিয়া হিসেবে।

ধরুন, আপনি বি,সি,এস প্রিপারেশনের জন্য কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারে এডমিট নিলেন।তো ঐখানকার শিক্ষরা আপনাকে শিখাবে বিভিন্ন কলাকৌশল যা আপনি প্রয়োগ করে বি,সি,এসে চান্স পেতে পারেন।এখানে শিক্ষকগণ কনফিডেন্স কোচিং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত।

ঠিক একজন মার্কেটারও কোনো পণ্য বা সেবা কোম্পানি দ্বারা নিয়োগকৃত শিক্ষক , যিনি লোকজনকে শিখান জীবনধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবার ব্যবহারের মাধ্যমে কিভাবে সরব্বোচ্চ উপযোগ পেতে পারে।একজন মার্কেটার  নতুন বা বিদ্যমান  পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সকল জ্ঞান সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করেন যা কিনা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং ভোক্তা উভয়শ্রেণীর কল্যাণের জন্য।আর যে উপায়ে তিনি এই জ্ঞান বিতরণ করেন,তাই-ই মার্কেটিং।

একবার ভাবুনতো, মার্কেটিং বা মার্কেটার'রা না থাকলে কী হতো?????মার্কেটার'রা না থাকলে আপনারা হয়তো ফেয়ার & লাভলী দিয়ে দাঁত মাজতেন আর টুথপেস্ট দিয়ে খেতেন পাউরুটি, হয়তো Veet দিয়ে পুরুষরা সেভ করতো আর শেভিং ফোম হতো নারীদের শেম্পু,হয়তো হারপিক দিয়ে নিয়মিত জামা-কাপড় পরিষ্কার করেতেন আর ভিমকে মাখতেন গায়ে।পছন্দসই মোবাইলটি এলাকার দোকাটিতেই রেখেই পাড়ি জমাতেন বিদেশে,জানতেন না পাশের হাসপাতালটিতে কি কি রোগের চিকিৎসা হয় ,কেউ অসুস্থ হলে এম্বুলেন্স এর পরিবর্তে ফোন দিতেন ফায়ার সার্ভিসে, কমিউনিটি সেন্টারে কী বিয়ে,জন্মদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করা হয় নাকি সিনেমা দেখানো হয় তা ভাবতে ভাবতেই রাতের ঘুম হারাম করে দিতেন।তাই মার্কেটার রা হচ্ছেন শিক্ষক, মার্কেটার রা শিখায় সঠিকভাবে বাঁচতে।

আমি মনে করি শিক্ষকতার চেয়ে মার্কেটিং এর মহত্ব অনেকাংশে বেশী, কেননা মার্কেটারদের পড়াতে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে অমনোযোগী ছাত্রদের।আর এই জন্য তাদের বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়।যেমন-টিভি বা নিউজ পেপার   বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, মূল্যছাড়, অফার, কুপন,খেলাধুলা বা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা ইত্যাদি।এই প্রক্রিয়াসমূহের মাধ্যমেই মার্কেটারগণ পণ্য বা সেবা ভোক্তাদের দোড়গোড়ায় পৌছে দেন সাথে ব্যবসায়িক সরবোচ্চ মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন।আর মার্কেটারদের এসব কৌশলী কার্যক্রমই হচ্ছে মার্কেটিং।

                    সুতরাং, "ডিজিটাল" হচ্ছে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিগত পরিবেশ আর "মার্কেটিং" হচ্ছে ক্রেতা ভ্যালু সৃষ্টি এবং লক্ষ্যাস্থিত গ্রাহকদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক মুনাফা অর্জন প্রক্রিয়া।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে প্রথাগত মার্কেটিং, যেমন-টিভি,নিউজপেপার বিজ্ঞাপন,বিলবোর্ড,অফার,কুপন,মূল্যছাড় ইত্যাদির বাইরে ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও তৎ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার মাধ্যমে মার্কেটিং প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেনো গুরুত্বপূর্ণ। সংজ্ঞা বিশ্লেষণ

মূলত,ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে প্রযুক্তির বিস্ময়কর আশীর্বাদ  বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন,যেমন-Google, Yahoo, Bing ইত্যাদি;বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া,যেমন-Facebook,Google +, Twitter, Reddit, LinkedIn, Tumblr, Instragram, Pinterest ইত্যাদি এবং অন্যান্য অনলাইন মাধ্যম যেমন-Website, Blog, Mobile & Computer apps, Email, Youtube Video ইত্যাদির মাধ্যমে মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করাকে বুঝায়।                      
ডিজিটাল মার্কেটিংকে আবার ইন্টারনেট মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং ও বলা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং প্রথাগত মার্কেটিং এর তুলনায় অনেক বেশি ফলপ্রসূ ও সাশ্রয়ী।তাছাড়া বর্তমান ব্যাবসায়- বাণিজ্য যতটা না সামাজিক তার চেয়ে বেশী ডিজিটাল।তাই মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত প্রতিক্রিয়াপ্রবণ পরিগণ্য হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে। একটি ট্রেন্ডি পেশা ও যেকোনো দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ।